সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা বুঝে না পাওয়া, অর্থ সংকট আর লবণের চড়া বাজারের কারণে এবারও ব্যবসা হারানোর শঙ্কায় পোস্তার আড়ৎদাররা।
তারা বলছেন, গেলো কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাঁচা চামড়ার বাজার কিছুটা ভালো হবার কথা থাকলেও পুঁজির সংকটে এই বাজার ধরা যাবে না।
যদিও বিষয়টিকে দাম নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা বলছেন ট্যানারি মালিকরা। তাদের দাবি, প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একই সূরে কথা বলে আড়ৎদাররা।
দেশের সবচেয়ে বড় ও পুরানো কাঁচা চামড়ার বাজার পোস্তা। যেখানে আড়ৎ আছে শতাধিক। সে আড়তের এখন বেশিরভাগই ফাঁকা। কর্মীরা পার করছেন অলস সময়।
যেসব আড়তে টুকটাক কাঁচা চামড়া আসছে তা দ্রুত লবণ দিয়ে সংরক্ষণের চেষ্টায় কর্মীরা। বাকি সময় ছুটির মেজাজেই কাটাতে হয় ব্যবসায়ীদের। তবে ঈদের দিন থেকে বদলে যাবে দৃশ্যপট।
দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়ার আড়তদার-ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য দ্রুত চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।
এবার এক কোটি ১০ লাখ পিস চামড়া কিনতে চান ট্যানারি মালিকরা। তারা বলছেন, চামড়ার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার সেটাও ভালো।
আবার চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ঢাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে কোন চামড়া ঢুকবে না এমন নির্দেশনাও ইতিবাচক। কিন্তু সঙ্কট পুঁজির।
আগের মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীদের হাতে টাকাও নেই। আবার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত খুব একটা ইতিবাচক সাড়া পাননি পোস্তার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা ১১০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে কোন সুরাহা হয়নি এখনও। ফলে ইচ্ছে থাকলেও চামড়া কিনতে পারবে না অনেক ব্যবসায়ী।
যদিও এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ। তাদের পাল্টা অভিযোগ এবারও চামড়ার দাম কমানোর পাঁয়তারা আড়তদারদের।
এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণ করবেন ট্যানারি মালিকরা। তাই চামড়া সংগ্রহের পর তা দ্রুত লবণ দিয়ে সংরক্ষণের পরামর্শ তাদের।
চামড়ার দাম নিয়ে এবার যাতে কোন নৈরাজ্য না হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর নজরদারি থাকবে।